বিশ্বসেরা ক্লাব হওয়ার পথে রিয়াল!

Add caption
এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা ক্লাব কোনটা? এই প্রশ্নের উত্তর মেলাতেই যেন এই ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন। আর নিজেদের সেরা প্রমাণ করার পথে একটা ছোট্ট বাধা কাল রিয়াল পেরিয়েছে নিজেদের মতো করেই। যেকোনো প্রতিযোগিতায় টানা ২০ জয় নিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে আসা আনচেলত্তির ছেলেদের সামনে খড়কুটোর মতোই উড়ে গেছে ক্রুজ আজুল নামের ওই ক্লাবটি। মরক্কোর মারাকেচে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে আজুলকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ কারা জানেন? সান লরেঞ্জো ও অকল্যান্ড সিটির মধ্যকার সেমিফাইনালের বিজয়ীরা।
ক্লাব বিশ্বকাপে আক্ষরিক অর্থেই রিয়ালের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন ক্রুজ আজুল, লাতিন অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন সান লরেঞ্জো আর ওশেনিয়ার অকল্যান্ড সিটির সঙ্গে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন, মানে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের শক্তির তারতম্য নিয়ে কথা বলাও হাস্যকর এক ব্যাপার। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ যেন রিয়ালকে বিশ্বসেরা ক্লাব হিসেবে কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠিত করারই মঞ্চ। হলফ করেই বলা চলে রিয়াল তা হতেই চলেছে।
ফাইনালে অকল্যান্ড কিংবা সান লরেঞ্জো—প্রতিদ্বন্দ্বী যে-ই হোক ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বাহিনীর সঙ্গে যে তারা পেরে উঠবে না, এ কথা বলেই দেওয়া যায়। অন্যথাও হতে পারে, আর সেটাই তো ফুটবলের সৌন্দর্য। রিয়াল সমর্থকেরা নিশ্চয়ই সেই ‘অন্যথা’র সুধা একেবারেই উপভোগ করবেন না।
কাল ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে গোল চারটি করেছেন সার্জিও রামোস, করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেল ও ইসকো। কাল মেক্সিকার এই ক্লাবের বিপক্ষে দলের সেরা েখলোয়াড়দেরই মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ইঙ্গিতটা ছিল পরিষ্কার। গত ২০ ম্যাচে যে শক্তিমত্তার প্রদর্শন দলটি করেছে, সেটার ব্যত্যয়হীন পুনরাবৃত্তি! ক্রুজ আজুলও লড়েছে তাদের সাধ্যমতো। প্রথমার্ধেই একটা পেনাল্টিও আদায় করে নিয়েছিল তারা। কিন্তু টানা দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষের সামনে পেনাল্টি-বাধা হয়ে দাঁড়ান গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াস।
স্কোরলাইনে নাম নেই ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কিন্তু ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে তাঁর বিখ্যাত ‘র‍্যাবোনা’ মেরে মরক্কোর দর্শকদের নাচিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজুলের গোলরক্ষক হোসে করোনা তা ঠেকিয়ে দেন দারুণ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই। রিয়ালের কালকের জয়ে রোনালদোর ‘র‍্যাবোনা’ লক্ষ্যপূরণ করলে রিয়াল সমর্থকদের তা হতো সোনায়-সোহাগা। পুরো ম্যাচে কিন্তু নিজের সুনাম অনুযায়ীই খেলেছেন রোনালদো।
ম্যাচ শেষে কার্লো আনচেলত্তি দলের পারফরম্যান্সকে ‘কার্যকর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘প্রধমার্ধে খেলাটা উন্মুক্তই ছিল। আজুল তো একটি পেনাল্টিও পেয়েছিল। কিন্তু কার্যকর পারফরম্যান্সে আমরা প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলেছি।’
রোনালদো সম্পর্কে আবারও আস্থাই প্রকাশিত রিয়াল কোচের কণ্ঠে, ‘হতে পারে সে আজ গোল পায়নি। কিন্তু সে পুরো ম্যাচেই দলের আক্রমণ রচনায় ভূমিকা রেখে গেছে। সে তো কিছু সুযোগও তৈরি করেছে। সে সব সময়ই অসাধারণ।